‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ গানটি বাজলেই হৃদয়ের কোণে ঈদের আনন্দ বয়ে যায়। গানের সুরে প্রিয়জনকে দেখার সেই মধুর আবেগ সৃষ্টি হয় প্রতিবছর। তবে গানটি বহুল পরিচিত হলেও কে এই গানের গায়ক, তা জানেন কী?
১৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৯ সালের দিকে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনের জন্য এ গানের সুর তোলেন হাবিব ওয়াহিদ, সংগীতায়োজনও তিনি করেছিলেন। গ্রামীণফোনের তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মেহজাবীনের কথায় গানটি অসাধারণ ভাবে গান মিলন মাহমুদ। বিজ্ঞাপনচিত্রটি টেলিভিশনে প্রচারের পরপরই দর্শকমহলে বিপুল সাড়া পড়ে যায়।
কোনো বিজ্ঞাপনচিত্রের ‘থিম সং’ আলাদাভাবে গান হিসেবে পরিচিত পাওয়ার নজির এই গানেই। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ প্রকাশের ১৫ বছর পর আজও গানটির আবেদন রয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত মিলন মাহমুদের ‘গোপনে’ অ্যালবামে রাখা হয় আলোচিত গানটি।
১৫ বছর হয়ে গেলেও গানটি এখনও সেই আবেগের জায়গা ধরে রেখেছে, কার কারণ কী? সময় সংবাদকে মিলন মাহমুদ বলেন, ‘একটা সৃষ্টির আনন্দে তখনই আমরা কনফিডেন্ট ফিল করি যখন সেই সৃষ্টিটা ৩০ বছর পর্যন্ত একইরকম আবেদন বহন করে। বাড়ি ফেরার আনন্দে, প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হওয়ার আবেগে, কান্নায়, হাসিতে যখন একটা গান মিশে থাকে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কী আছে?’
মিলন মাহমুদের কণ্ঠে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ প্রকাশের সাত বছর পর ২০১৬ সালে গ্রামীণফোনের ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ বিজ্ঞাপনের থিম সংয়ের সুর ও সংগীতায়োজন করেন হাবিব ওয়াহিদ। রাসেল মাহমুদের লেখা এই গানে কণ্ঠ দেন শিল্পী মিঠুন চক্র। বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর গানটি তুমুল আলোচিত হয়, গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গানটিতে মিলন মাহমুদ আর ছিলেন না। এ বিষয়ে তার কোনো আফসোস আছে কী? মিলন বলেন, ‘একদমই নেই। তবে একটু খারাপ লেগেছিল। কিন্তু গানটি যখন শুনলাম এত অসাধারণ করে গেয়েছে মিঠুন চক্র। গানটি শুনেই সেই আফসোসের জায়গাটি আর নেই।’
সূত্র: সময় টিভি নিউজ